আজকের শিক্ষার অবস্থা
১। শিক্ষকের অবহেলা ।
২। অল্প শিক্ষিত জনবলকে শিক্ষকের দায়িত্ব
দেয়া ।
৩। সৃজনশীল শিক্ষা ব্যবস্থাকে সঠিক ভাবে কাজে
না লাগানো ।
আরো পড়ুন ব্যাখ্যা সহ বিস্তারিত.............
১
নং এর ব্যাখ্যাঃ-
আমার দেখা বেশির ভাগ স্কুল গুলোতে শিক্ষকদের কোন
দায়িত্ব বোধ আমি দেখি নি ।তাদের ধারনা তারা মাঠে গরু চরাতে এসেছে । নিজেরা নিজেদের
মত খেয়ে নেবে শিক্ষকের দায়িত্ব শুধু ছাত্রছাত্রীদেরকে দেখে রাখা ।প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
গুলোর দিকে তাকালে দেখা যায় প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে না থাকলে কোন শিক্ষক ঠিকমত ক্লাস
নেয় না ।কিছু শিক্ষক আছে নিজের ক্ষমতা দেখিয়ে স্কুলেই আসে না । তাহলে ঐ শিক্ষকের যে
বিষয় সেটা ছাত্র-ছাত্রীরা কিভাবে শিখবে বলেন ।
মনিটরিং
এর মাধ্যমে এই কাজ গুলো বন্ধ করতে হবে ।
২
নং এর ব্যাখ্যাঃ-
আমার মনে হয় চোর শুধু চোরের তালিম দিতে পারে ।
যদি আপনি সক্রেটিস এর মত শিক্ষকের কাছে শিক্ষা নেন তাহলেই আপনি প্লেটো হতে পারবেন ।আর
যদি কোন বকধার্মিকের কাছে শিক্ষা নেন তবে অবশ্যই বক ধার্মিক হবেন ।আমি কোন বৈশম্য করতে
চাইছি না । আমি চাইছি যে লোকটার জ্ঞান নেই পরিবেশ সম্পর্কে সে কি করে পরিবেশ সম্পর্কে
অন্যকে জানাবে? যে যানে না গণিত কী সে কী করে গণিত শেখাবে বলেনতো! যার ধারনা নেই বিজ্ঞান
কী সে কী ভাবে বিজ্ঞান শেখাবে ! বিশাল জ্ঞান ভান্ডারের থেকে কিছু জ্ঞান নিজের ভান্ডারে
না থাকলে কি করে সে জানাবে বলেনতো ।বর্তমানে সবাই টাকা আর মামা খালুর জোরে চাকরি নিচ্ছে
তাই ঠিকমত যাচাই হচ্ছে না সে কতটা দক্ষ! আমার দেখা একটা ভাইবা বোর্ডে ক্লাইন্টকে বাংলাদেশের
জাতীয় সংগীত বলতে বলা হলে সে একলাই বলে তারপরের লাইন মনে নেই বলেছিল ।বোঝেন আমরা কোথায়
আছি?
নিজে কানা পথ চেনে না । পরকে ডাকে বারং
বার ।
৩
নং এর ব্যাখ্যাঃ-
সৃষ্টিমুলক শিক্ষা এখন নাই! মুখে বলি আমরা সৃজনশীল
কিন্তু একটা ছাত্র তার ভিতর থেকে তার মেধাটা কতটা বিকশিত করতে পারছে । শিক্ষকরাইবা
কি শিক্ষাচ্ছেন একটা ছেলে ইংরেজি রিডিং পড়তে পারে না । কি বলবেন সেটা ছেলেটার দোষ না
শিক্ষক ঠিকমত শেখাইনি । যদি ক্লাসের ৯০ ভাগ ছেলেরা পারে তাহলে মেনে নেব ছেলেটার দোষ
।যদি ৯০ ভাগ না পারে তাহলে কার দোষ? একটা ছেলে যে কিনা ফোরে পড়ে তার হাতের লেখা ক্লাস
ওয়ানের বাচ্চার মত হয় কি করে!! সৃজনশীল ভাবে পাঠ দান করতে হলে বাস্তব জীবন সম্পর্কে
জ্ঞান থাকতে হবে ।
আমি
যদি বলি তোমার চার পাশে যা কিছু আছে তাই পরিবেশ । কত সুন্দর ভাবে বুঝবে সবাই । কিন্তু
যদি বলি তোমার পার্পার্শ্বিক অবস্থার নাম পরিবেশ তখন প্রশ্ন আসার কথা ছিল কিন্তু আসে
না কারন তারা শিক্ষকে ভয় করে ।সে সমস্ত জীবন পড়বে কিন্তু পার্পাশ্বিক মানে জানবে না
।প্রথম সংজ্ঞা দেওয়ার পর যদি বলি পরিবেশের উপাদান কি কি তা হলে আর আমাকে বলতে হবে না
তখন ওরাই বলবে ।কিন্তু দিত্বীয় সংজ্ঞা দিলে আর উপাদান খুজে পাওয়া যাবে না ।গণিত যদি
আমি ছাত্র বা ছাত্রীকে গলদ করন করাই তাহলে সে কিছুদিন পর ভুলে যাবে ।কিন্তু যদি কোন
বাস্তব গল্প দিয়ে তাকে বোঝাতে পারি সেটাই হবে ওর জন্য সব থেকে ভালো ।
আজকে
বিদ্যালয় গুলোতে বিদ্যা গেলানো হয়! কিন্তু আমাদের সময় বিদ্যা শেখানো হতো! সর্বপরি কথা
একটাই অল্প কথায় কাজ হলে বেশি কথার দরকারকি?
সকল
শিক্ষককে একথায় প্রাক্টিক্যাল হতে হবে । তাহলেই কেবল শিক্ষার সুদিন আবার ফিরে আসবে
।
No comments:
Post a Comment